মরিচ চাষাবাদ পদ্ধতি
জলবায়ু ও মাটি – মরিচ সব ধরণের মাটিতে চাষ রা যায়৷ তবে সুনিষ্কাসিত বেলে বা পলি দোআঁশ মাটি মরিচ চাষির জন্য উপযোগী৷
জমি তৈরী – ৫-৭ চাষ ও মই দিয়ে ভালভাবে জমি তৈরী করতে হবে যেন কোন ঢেলা না থাকে এবং মাটি ঝুরঝুরে হয়৷
বীজ বপন বা চারা উৎপাদন – রবি মৌসুমে ভাদ্র-কার্তিক মাস ও খরিপ মৌসুমে মাঘ-বৈশাখ মাস বীজ বপন বা চারা রোপনের জন্য উপযুক্ত সময়৷• সরাসরি বীজ বুনে অথবা চারা রোপণ করে মরিচ চাষ করা যায়৷• সরাসরি বীজ বুনে মরিচ চাষ করলে শতক প্রতি বীজ লাগে ১০-১২ গ্রাম এবং চারা রোপণ পদ্ধতিতে মরিচ চাষ করলে শতক প্রতি বীজ লাগে ২-৩ গ্রাম৷ জাত অনুযায়ী মরিচের গাছের উচ্চতা অনধিক ২৫ সে. মি. থেকে ১০০ সে. মি. পর্যন্ত হতে পারে৷ এ জন্য বপন ও রোপণের দূরত্ব সে অনুযায়ী নির্ণয় করতে হবে৷ সাধারণত ছোট আকারের জাত সরাসরি ছিটিয়ে বুনা হয়ে থাকে৷ বৃহদাকার জাতে ৪০-৫০ দিন বয়সের চারা ৬০ সে.মি. দূরত্বে সারি করে সারিতে ২৫-৩০ সে.মি. ব্যবধানে রোপণ করা যেতে পারে৷ বারমাসি জাত আরোও বেশি পাতলা করে লাগাতে হয়৷
আন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যা – শুষ্ক মৌসুমে সেচের পর ও বৃষ্টির পর এবং বর্ষা বা খরিপ মৌসুমে বৃষ্টির পর ক্ষেতের মাটি খুঁচিয়ে মাটির আস্তর ভেঙে দিতে হবে৷
ফসল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ – সাধারণত বীজ বপনের ২ মাস পর থেকে কাঁচা মরিচ সংগ্রহ করা যায়৷ বোঁটাসহ মরিচ সংগ্রহ করা উচিত৷ দফায় দফায় পাকা মরিচ সংগ্রহ করে শুকিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে৷ শতক প্রতি ৬০ কেজি শুকনো মরিচ অথবা ২৮০ কেজি কাঁচা মরিচ পাওয়া যায়৷
Reviews
There are no reviews yet.