ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচের চাষ
আসুন জেনে নেই বাড়ির চিলেকোঠা বা ছাদে অথবা ঘরের বারান্দায় অথবা বাড়ির আঙ্গিনায় বা উঠোনে কিভাবে ক্যাপসিকাম/মিষ্টি মরিচ চাষ করতে হবে
কিভাবে ক্যাপসিকাম/ মিষ্টি মরিচ চাষে টব/মাটি তৈরি করবেন
ক্যাপসিকাম/ মিষ্টি মরিচ চাষে কি ধরণের টব/পাত্রের আকৃতি বাছাই করবেন
ক্যাপসিকাম/ মিষ্টি মরিচ জাত বাছাই করা
ক্যাপসিকাম/ মিষ্টি মরিচ চাষ/রোপনের সঠিক সময়
কিভাবে ক্যাপসিকাম/ মিষ্টি মরিচ বীজ বপন ও সঠিক নিয়মে পানি সেচ দিবেন
সঠিক নিয়মে ক্যাপসিকাম/ মিষ্টি মরিচ চাষাবাদ পদ্ধতি/কৌশল
ক্যপসিকাম/ মিষ্টি মরিচ চাষে সারের পরিমাণ ও সার প্রয়োগ
ক্যাপসিকাম/ মিষ্টি মরিচ চাষে পোকামাকড় দমন ও বালাইনাশক/কীটনাশক কিভাবে প্রয়োগ করবেন
কিভাবে ক্যাপসিকাম/ মিষ্টি মরিচ বাগানের যত্ন ও পরিচর্যা করবেন
ক্যাপসিকাম/ মিষ্টি মরিচের খাদ্য গুণাগুণ
কখন ক্যাপসিকাম/ মিষ্টি মরিচ সংগ্রহ করবেন
কি পরিমাণ ক্যাপসিকাম/ মিষ্টি মরিচ পাওয়া যাবে
ক্যাপসিকাম/ মিষ্টি মরিচ অন্যান্য ব্যবহার
আসুন জেনে নেই বাড়ির চিলেকোঠা বা ছাদে অথবা ঘরের বারান্দায় অথবা বাড়ির আঙ্গিনায় বা উঠোনে কিভাবে ক্যাপসিকাম/মিষ্টি মরিচ চাষ করতে হবে
ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ সারা বিশ্বেই একটি জনপ্রিয় সবজি। এটি বাইরের দেশের সবজী হলেও বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশে এই ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ চাষ করা হয়ে থাকে।।বিশ্বে টমেটোর পরে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ সবজি হচ্ছে মিষ্টি মরিচ।আপনি নিজেই বাড়ির চিলেকোঠা বা ছাদে অথবা ঘরের বারান্দায় অথবা বাড়ির আঙ্গিনায় বা উঠোনে চাষ করতে পারেন এই মরিচের। আসুন জেনে নেই কিভাবে সেটা সম্ভব বা করতে হবে।
কিভাবে ক্যাপসিকাম/ মিষ্টি মরিচ চাষে টব/মাটি তৈরি করবেন
ক্যাপসিকাম চাষের জন্য বেলে বেলে দোআঁশ বা দোআঁশ মাটি সবচাইতে ভাল। মিষ্টি মরিচ গাছের সহ্য ক্ষমতা কম থাকায় মাটি ঝুরঝুর করে ব্যবহার করা উচিত।
ক্যাপসিকাম/ মিষ্টি মরিচ চাষে কি ধরণের টব/পাত্রের আকৃতি বাছাই করবেন
ক্যাপসিকাম চাষের জন্য যে কোনো সাইজের টব আপনি বাছাই করতে পারেন। তবে এই ক্ষেত্রে ছোট বা মাঝারি সাইজের টব হলে সবচাইতে ভাল হয়। এবং খেয়াল রাখতে হবে একটি টবে যেন একটির বেশি গাছ রোপণ না করা হয়।
ক্যাপসিকাম/ মিষ্টি মরিচ চাষ/রোপনের সঠিক সময়
প্রায় সারা বছরই এই মিষ্টি মরিচের গাছ চাষ করা যায়। তাবে অক্টোবর মাস ক্যাপসিকাম/ মিষ্টি মরিচ গাছ লাগানোর উত্তম সময়। এই সময় চারা রোপন করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়।
কিভাবে ক্যাপসিকাম/ মিষ্টি মরিচ বীজ বপন ও সঠিক নিয়মে পানি সেচ দিবেন
ক্যাপসিকাম/মিষ্টি মরিচ চাষের ক্ষেত্রে প্রথমে বীজ থেকে চারা তৈরি করতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রথমে বীজগুলো ১২ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর বীজ বপনের ট্রেতে বীজ বপন করতে হবে। বীজ বপন করে হালকাভাবে মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। বীজতলায় প্রয়োজনানুসারে ঝাঝরি দিয়ে হালকাভাবে সেচ দিতে হবে। বীজ থেকে চারা গজাতে ৩-৪ দিন সময় লাগে।
সঠিক নিয়মে ক্যাপসিকাম/ মিষ্টি মরিচ চাষাবাদ পদ্ধতি/কৌশল
টবে গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে উপযুক্ত মাটি ও ৩০-৪০দিন বয়সের চারা প্রয়োজন। তবে খেয়াল রাখতে হবে সূর্যের তাপে চারা রোপণ করলে চারার ক্ষতি হয়। তাই বিকালে চারা রোপণ করাই ভালো। এছাড়াও চারা রোপনের পর চারার সঠিক ভাবে যত্ন নিতে হবে। যেন প্রখর সূর্যালোকে এবং ঝড় বৃষ্টি আঘাত হানতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ক্যাপসিকাম/ মিষ্টি মরিচ চাষে সারের পরিমাণ ও সার প্রয়োগ
টবের বা উপযুক্ত পাত্রে মাটি দেওয়ার পূর্বে দেওয়ার পূর্বে তার সঙ্গে গোবর, টিএসপি, ইউরিয়া, জিপসাম, এমওপি এবং জিংক অক্সাইড ভালো করে মেশানোর পর টবে প্রয়োগ করতে হবে। চারা রোপণের পর ইউরিয়া ও এমওপি দু´ভাগে ২০ ও ৩০ দিন পর প্রয়োগ করতে হবে।
ক্যাপসিকাম/ মিষ্টি মরিচ চাষে পোকামাকড় দমন ও বালাইনাশক/কীটনাশক কিভাবে প্রয়োগ করবেন
ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ গাছে সাধারণত বেশ কিছু ধরণের পোকামাকড়, ছত্রাক ও ভাইরাসজনিত রোগের আক্রমণ হয়ে থাকে। এসব ছত্রাক ও ভাইরাস মরিচ গাছের অনেক ক্ষতি করে থাকে। তাই এসব ছত্রাক ও ভাইরাসের হাত থেকে মরিচ গাছ কে রক্ষা করতে কৃষিকর্মীর পরামর্শ অনুযায়ী কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।
কিভাবে ক্যাপসিকাম/ মিষ্টি মরিচ বাগানের যত্ন ও পরিচর্যা করবেন
ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচের গাছের সঠিক ভাবে যত্ন নিতে হবে। মিষ্টি মরিচ গাছের সহ্য ক্ষমতা কম থাকায় খরা বা জলাবদ্ধতা কোনোটাই সহ্য করতে পারে না। ক্যাপসিকাম গাছের গোড়ায় আগাছা জন্মাতে দেয়া যাবে না। আগাছা দেখলেই নিড়ানি দিয়ে ফেলে দিতে হবে। এবং ক্যাপসিকাম গাছে প্রয়োজন মত পানি দিতে হবে। গাছ হেলে পড়া রোধে খুঁটির ব্যবস্থা করতে হবে। অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে যাতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয় সে জন্য সুষ্ঠু নিকাশ ব্যবস্থা করতে হবে।
ক্যাপসিকাম/ মিষ্টি মরিচের খাদ্য গুণাগুণ
ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ একটি অতীব সুস্বাদু সবজী। পুষ্টিমানের দিক থেকে মিষ্টি মরিচ একটি অত্যন্ত মূল্যবান সবজি। ক্যাপসিকামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি বিদ্যমান। এছাড়াও অনেক খাদ্যগুন এই মরিচে বিদ্যমান।
কখন ক্যাপসিকাম/ মিষ্টি মরিচ সংগ্রহ করবেন
ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ সাধারণত সবুজ অবস্থায় পরিপক্ক হলে সংগ্রহ করতে হয়। তখনই এই মরিচ খাওয়া যায়। তাই ক্যাপসিকামের রঙ লালচে হওয়ার আগে সংগ্রহ করতে হবে। এই মরিচ গাছে থেকে সপ্তাহে একবার মরিচ সংগ্রহই উত্তম।
কি পরিমাণ ক্যাপসিকাম/ মিষ্টি মরিচ পাওয়া যাবে
একটি ক্যাপসিকাম গাছে থেকে আপনি ১৫-২০টি মরিচ পেতে পারেন যার প্রতিটির ওজন ২০০-২৫০ গ্রাম। যদি ছাদে আপনি বেশ কিছু ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ গাছ লাগাতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে আপনার পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে আপনি বেশ কিছু মরিচ বিক্রিও করতে পারবেন। এই মরিচের দাম কেজি প্রতি প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত।
ক্যাপসিকাম/ মিষ্টি মরিচ অন্যান্য ব্যবহার
ক্যাপসিকাম/ মিষ্টি মরিচ এর বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে। এটি সালাদ অথবা স্যুপ তৈরিতে ব্যবহার হয়, কাঁচা ফল সালাত এবং রান্না করে সবজি হিসেবে অতি সুস্বাদু খাদ্য।


In Dhaka Delivery
60 for the first 1 kg inside Dhaka. And the next 15 tk per kg will be added.
OUT OF DHAKA
- In the case of taking goods outside Dhaka, first, the product has to be confirmed by developing 150 tk. And the rest of the money has to be paid at the time of taking the product.
The delivery charge outside Dhaka is 130 tk. And the next charge will be 30 tkper kg.
Reviews
There are no reviews yet.